ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কি কি প্রয়োজন? জেনে নিন

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কি কি প্রয়োজন


আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন! পাসপোর্টসেবা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের ব্লগে আমরা শেয়ার করবো ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? ড্রাইভিং পেতে কি কি প্রয়োজন?


অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে। এমনকি তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করার মতো অদম্য সুযোগ রয়েছে। এতে করে গ্রাহকের স্বল্প ও কম সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সমাধান হয়ে থাকে।

বর্তমান সময়ে চাকরি থেকে শুরু করে স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি কার্যক্রম গুলো অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার সাধারণ জনগনের সার্বিক দিক দিয়ে অনেক উপকৃত হচ্ছে। আর এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে সেসকল অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলো ঘরে বসে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।


সুপ্রিয় পাসপোর্টসেবা পাঠক/পাঠিকা বন্ধুরা, যারা বর্তমান সময়ে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে সেই কাজটি করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে অবগত নয়। সেই সকল পাঠক পাঠিকার জন্য আমার আজকের পোস্ট। কারণ আজকের পোস্টে আমি আলোচনা করতে চলেছি কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ড্রাইভিং চাইসেন্স এর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।আশাকরি এই সকল প্রক্রিয়া গুলো জানতে আমাদের আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?

“ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি মোটরযান যা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মোটরযান চালানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব প্রদান করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দ্বারা প্রদত্ত দলিলকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ২ প্রকারঃ

  1. পেশাদার 
  2. অপেশাদার
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসন্সেঃ যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে একজন চালক পেশা বা বেতনভোগী কর্মচারি হিসেবে মোটরযান চালিয়ে থাকে তাকে আমরা পেশাদার লাইসেন্স বলে থাকি। এই লাইসেন্স মেয়াদ সাধারনত ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এই লাইসেন্স পেতে কিছু শর্ত আরো করা হয়েছে। যেমন এই লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোট প্রয়োজন ও মোটরযান চালানোয় দক্ষ হতে হয়।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ যে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কোনো চালক বেতনভোগী কর্মচারি নন বা নিজস্ব কাজে ব্যবহার করার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রদান করে থাকে তাকে আমরা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে থাকি। এই লাইসেন্স এর মেয়াদ সাধারণত ১০ বছর করা হয়ে থাকে। অপেশাদার লাইসেন্সের একটি বড় সুবিধা হলো এটি করতে কোনো ধরনের পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হয়না। তবে এই লাইসেন্স ব্যবহার করে মাঝারি বা ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?

লার্নার হলো এক ধরনের লাইসেন্স। অন্য ভাবে বলা যায়, এটি একটি প্রবেশ পত্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষা,মৌখিক পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এটি দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না এটি শুধু মাত্র পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার পূর্বে লার্নার এর এর জন্য আবেদন করতে হয়। তবে এটি আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ৮ম শ্রেনী উত্তীর্ন হতে হবে এবং বয়স ১৮ বছরে উর্ধ্বে হতে হবে।

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?

  1. নির্ধারিত ফরমে আবেদন
  2. মেডিকেল সার্টিফিকেট (অবশ্যই রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক)
  3. জন্ম সনদ/জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি
  4. টাকা জমাদানের রশিদ (প্রথম ও দ্বিতীয় ক্যাটেগরির জন্য যথাক্রমে ৩৪৫ টাকা ও ৫১৮ টাকা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধাারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে)
  5. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ও ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?

  1. নির্ধারিত ফরমে আবেদন
  2. মেডিকেল সার্টিফিকেট (অবশ্যই রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক)
  3. জন্ম সনদ/জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি
  4. টাকা জমাদানের রশিদ (পেশাদর ও অপেশাদার জন্য যথাক্রমে ১৪৩৮ টাকা ও ২৩০০ টাকা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধাারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে)
  5. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট।
  6. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ছবি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে করণীয় কি?

ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আবেদন দাখিল করে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে নির্দষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করে কাজটি সম্পন্ন করতে হয়ে। ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন চলুন জেনে নিইঃ-ি
  1. নির্ধারিত ফর্মে আবেদন
  2. জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স
  3. টাকা জমার রশিদ (বিআরটিএ কর্তৃক নিধারিত ব্যাংকে হাই সিকিউরিটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ৬৩৩ টাকা)
  4. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
আপনার জন্য আরো কিছুঃ

বিআরটিএ এর যোগাযোগের নম্বর

ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা স্মার্ট কার্ড সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যায় পড়লে বিআরটিএ এর মুঠোফোনের সেবাই সরাসরি সংযুক্ত হতে পারেন। তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে নিম্নে দেওয়া নাম্বারে কল করতে পারেনঃ-
  • ১৬১০৭
  • ০৯৯৬১০৯৯০৯৯৮

বিঃদ্রঃ অবশ্যই রবি থেকে বৃহঃ বার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা এর মধ্যে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
কাজেই যারা অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য দিধাদন্দে আছেন কি করে কি করবো? কি কি দরকার এই সম্পর্কে উদাসীন তারা হইতো আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে সব বুঝে গেছেন। আশাকরি আর কোনো সমস্যা হবেনা। এর পরেও যদি কোনো ধরনের প্রশ্ন আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশাকরি আমি আপনাদের যথেষ্ট সাহায্য করতে পারবো।


শেষ কথা-

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা যারা আমাদের আজকের পোস্টটি পড়েছেন তার হইতো ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য কি কি কাগজপত্র দরকার সেই সম্পর্কে খুটিনাটি সব জেনে গেছেন। এর পরেও কোনো সমস্যায় পড়লে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমি যতটুকু পারি ইনশাল্লাহ সাহায্য করবো।

পোস্ট ট্যাগ-

লার্নাার করতে কি কি লাগে,লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক,লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাউনলোড,লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কি গাড়ি চালানো যায়,লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন,লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ অনলাইন,অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন,লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন। স্মার্ট কার্ডের জন্য কি কি প্রয়োজন,ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কি কি দরকার

Post a Comment

0 Comments

Close Menu